,

সুন্দরবনে শুটকি মৌসুম শুরু

খুলনা,(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ ডটকম):   বিগত বছরের মতো সুন্দরবনে শুটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হয়েছে। আজ থেকে ১০ হাজার জেলে মাছ ধরা ও শুকানোর কাজে নেমে পড়েছেন।এখানে শুষ্ক মৌসুমে জেলেরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের সংলগ্ন নদী থেকে ধরে এনে প্রচুর পরিমাণে মাছ শুটকি বানায়। রূপচাঁদা, লইট্যা, ছুরি খলিসাসহ প্রায় ৮৫ প্রজাতির মাছ এবং বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি সুন্দরবনে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।সুন্দরবনের দুবলারচর, চাপড়া খালিস, আলোরকোল, মেহের আলী, মাঝির কিল্লা, শেওলার চর, কোকিলমনি, কবরখালী, নারকেল বাড়িয়া, বড় আম্বেরিয়া, মানিক খালি ও ছোট আম্বেরিয়ায় এলাকায় মাছ শুটকি  করা হয়। দুবলার চরের জেলে মোহাম্মদ আলী জানান- সূর্যোদয়ের আগেই তারা মাছগুলোকে জাল থেকে বের করেন এবং শুটকি হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করতে রোদে শুকাতে দেন।আরেক জেলে রুহুল আমিন জানান, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজার-হাজার জেলে মাছ শুকানো ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এখানে অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন। তিনি জানান- অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় বেশি মাছ পাওয়া যায়। এখানে তারা ৩১ মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক মাছগুলো এনে শুকিয়ে নেবেন। এই শুটকিগুলো সরাসরি কুয়াকাটা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো হবে।দুবলারচরের জেলে সংগঠনের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, গত কয়েক মাসে জেলেরা এখানে মাছ শুকানোর সুযোগ পাননি। সরকার ইলিশ মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তারাও বেকার ছিলেন। তারা (জেলেরা) কিন্তু তখন ভিজিএফ’র চাল পেয়েছেন।তিনি জানান, এ বছর অন্তত ৯৮৫টি বাড়ি, ৫৭টি ডিপো ও ৯৩টি দোকান স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বন বিভাগ।পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, মোংলা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে দুবলার চর মৎস্য গ্রামে মাছ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের জন্য ১৩টি কেন্দ্র রয়েছে। মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য মৎস্যজীবী ও ডিপোর মালিকরা ওখানে যান


More News Of This Category